‘ভারতীয় আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। তাঁরা দেশের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর রাওয়া ক্লাবের সামনে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক সমাবেশে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের অপপ্রচার ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন তারা।

বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ‘সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যবৃন্দ জাতীয় ঐক্য ও গণসংহতি পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।

অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নাই। কিন্তু এরপরও একটি গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আমাদের আঘাত করলে আমরা যে প্রতিবাদ করব তা সহ্য করতে পারবে না কেউ। তাই তাদের উচিত, শত্রুতার মনোভাব দূর করে সার্ক কার্যকর করা এবং সার্কভুক্ত সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিশ্চিত করা।

রাজধানীতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিক্ষোভে সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ভারত বিরোধী বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও স্লোগান প্রদর্শন করেন।

বিক্ষোভ শেষে সংগঠনটির আহ্বায়ক কর্নেল (অব) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। শুধু ভারত নয়, দেশ এবং দেশের বাইরে যেখানেই বাংলাদেশ এবং আমার মাতৃভূমির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে আমরা সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলব। সামরিক ও বেসামরিক সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নিয়ে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।

রাজধানীতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সমাবেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সামরিক ও বেসামরিক মানুষের মধ্যে বিভাজন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এই দেশের সন্তান। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকেই সামরিক ও বেসামরিক মানুষের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। বিশেষ করে গত সরকারের আমলে এই আস্থার আরও অধঃপতন হয়েছে। কিন্তু এ রকম হওয়া উচিত নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে খেলেছি, লেখাপড়া করেছি। এখন হয়তো কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করছেন, কেউ সামরিক কেউ বেসামরিক কর্মকর্তা। আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। আমরা দেশের প্রয়োজনের সবাই একসঙ্গে কাজ করব।